Bomb Disposal Robot

সন্ত্রাসবাদ গোটা  পৃথীবিতে একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীও এর ব্যাতিক্রম নয়।

Bomb Disposal Robot v2

২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় হলি আর্টিজানে একটি সন্ত্রাসী দলের বিরুদ্ধে , ২০১৭ সালে সিলেটের আতিয়া মহলে এবং ২০১৯ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে একজন বিমান হাইজ্যাকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এইরকম অভিযানসমূহে প্রায়শই নিরাপত্তা বাহিনীকে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হয়। যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এইসব অপারেশন পরিচালনা করার জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়। বেঙ্গল চ্যাম্প এইরকম একটা রোবট বাংলাদেশে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর রয়েছে মূলত চারটা বৈশিষ্ট্যঃ

  • ট্যাংক টাইপ টায়ারঃ যুদ্ধ ক্ষেত্রে ট্যাংকের ব্যাবহার তো  সকলেরই জানা। কিন্তু ট্যাংকের টায়ার বা চাকা গুলো অন্যরকম হয় কেনো তা অনেকেই জানেনা। ট্যাংকের টায়ার গুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা হয় যেনো সেটা যেকোন ধরণের ভুমিতে অপারেশন পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু বেঙ্গল চ্যাম্পের বোম্ব ডিস্পোজাল রোবটকে আরেকটা অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ফিচার রয়েছে সেইটা হচ্ছে সামনে এবং পিছনে উভয় দিকে সিড়ি দিয়ে অর্থাৎ ঢালু রাস্তা দিয়ে উঠতে বা নামতে পারে। এইসব প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখেই বেঙ্গল চ্যাম্পের এই বোম্ব ডিস্পোজাল রোবটের টায়ার ডিজাইন করা হয়েছে।
  • রোবটিক হাতঃ বোমাকে ধরার জন্য এতে রয়েছে রোবটিক হাত। যেটি তার চারপাশে একটা নির্দীষ্ট স্থানজুড়ে নড়াচড়া করতে পারে।   রোবটিক হাতের স্ট্যাবিলিটি মানুষের হাতের চেয়ে নিখুত। অনেক ক্ষেত্রে মানুষের হাত কিছু করতে পারে না যা রোবটিক হাত করতে পারে।
  • ক্যামেরাঃ রোবটের চারপাশের ভিউ দেখার জন্য রয়েছে একটি ক্যামেরা। রোবটিক হাতের উপর ক্যামেরা টা স্থাপন করা থাকবে। রোবটিক হাত ঠিকমত বোমা টা ধরতে পেরেছে কিনা এবং সে কোনদিকে যাচ্ছে সবকিছু এই ক্যামেরায় ধারন করা হবে।
  • দূরনিয়ন্ত্রন বা রিমোট কন্ট্রোল্ডঃ পুরো রোবট টাই হবে দুর থেকে নিয়ন্ত্রিত । রবোটের ক্যামেরায় যা ধারণ করা হবে তার সব কিছুই দুরথেকে নিয়ন্ত্রণকারী দেখতে পাবে।