Gas Analyzer

গ্যাস এ্যানালাইযার একটা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যার মাধ্যমে কোন স্থানের বাতাসে কি রকম গ্যাসের উপস্থিতি কি পরিমাণে আছে তা নির্ণয় করা যায়। মুলত এই বিভিন্ন রকম গ্যাসের পরিমাণ নির্ণয় করে কোন নির্দিষ্ট স্থানের বায়ু কতটুকু দুষিত তা পরিমাপ করা হয়।

বেঙ্গল চ্যাম্পের এই গ্যাস এ্যানালাইজারের নাম দেওয়া হয়েছে গন্ধ বণিক।

Gas Analyzer

বেঙ্গল চ্যাম্প গ্যাস এ্যানালাইযার গন্ধবণিকের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্টঃ

  • এটি বাতাসে ৫টি জিনিষ পরিমাপ করতে পারে :
  1. এ্যামোনিয়া গ্যাসের ( NH3 ) পরিমাণ ।
  2. হাইড্রোজেন সালফাইড ( H2S ) গ্যাসের পরিমাণ ।
  3. উদ্বায়ী জৈব যৌগের ( TVOC ) পরিমাণ ।
  4. তাপমাত্রা ।
  5. আর্দ্রতা ।
  • এতে রয়েছে আইওটি সিস্টেম এটি যে প্যারামিটার গুলা পরিমাপ করবে সেগুলোকে ক্লাউডে পাঠাতে সক্ষম।
  • এতে রয়েছে বিল্ট ইন ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ( BMS ) । অর্থাৎ আপনি এটাকে চার্জ দিয়ে চালাতে পারবেন।

কোথায় কোথায় ব্যাবহার করা সম্ভব বেঙ্গল চ্যাম্পের এই গন্ধবণিকঃ

  • গবেষণাগারঃ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গবেষনাগার যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন রকম গ্যাসের উপস্থিতি এবং পরিমাণ নির্ণয় করার দরকার পরে। সেইখানে বেঙ্গল চ্যাম্পের এই গ্যাস এ্যানাইলাইযার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
  • সিটি কর্পোরেশনঃ বাংলাদেশে ১২টা সিটি করপোরেশনের মধ্যে কিছু সিটি করপোরেশন বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প চালু করেছে। যে কারনে কিছু শহরে বর্জ্য নিষ্কাশন অঞ্চল রয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য নিষ্কাশন জোনের লোকেশন এইখানেঃ https://goo.gl/maps/oLFo2m15a4DiWDZs5 । এইসব জোনে প্রচুর আবর্জনা পুরো বিভাগীয় শহর থেকে সংগ্রহ করে এনে জমা রাখা হয়। যার কারণে এইসব জায়গায় প্রচুর বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট লোকদের সাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এইসব এলাকায় বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপুর্ণ । এই কাজের বেঙ্গল চ্যাম্পের এই গ্যাস এ্যানালাইজার খুবই সহায়ক।
  • পোল্ট্রি শিল্পঃ পোল্ট্রি ফার্ম এবং বাজার গুলোতে বিষ্ঠার কারণে প্রচুর এ্যামোনিয়া গ্যাস এবং ডিম পচে প্রচুর হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। বেঙ্গল চ্যাম্পের এই গ্যাস এ্যানালাইযার পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।